ড্রোন লাইসেন্স বাংলাদেশে কিভাবে পাবেন? | সম্পূর্ণ গাইড ২০২৫
ড্রোন লাইসেন্স বাংলাদেশে কিভাবে পাবেন? | সম্পূর্ণ গাইড ২০২৫
বর্তমান যুগে ড্রোন প্রযুক্তি দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে। বাংলাদেশের বিভিন্ন ক্ষেত্রে যেমন কৃষি, নিরাপত্তা, ফটোগ্রাফি ও ভিডিওগ্রাফিতে ড্রোনের ব্যবহার বাড়ছে। কিন্তু ড্রোন উড়ানোর জন্য সরকারিভাবে ড্রোন লাইসেন্স বা অনুমতি নেওয়া বাধ্যতামূলক। এই নিবন্ধে আমরা বিস্তারিতভাবে আলোচনা করব— বাংলাদেশে ড্রোন লাইসেন্স কী, কীভাবে আবেদন করবেন, প্রয়োজনীয় শর্তাবলী, এবং নিয়মকানুন কী কী।
ড্রোন লাইসেন্স কি?
ড্রোন লাইসেন্স বা ড্রোন নিবন্ধন হলো সরকারের কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে ড্রোন উড়ানোর জন্য অনুমোদন পাওয়া। এটি নিরাপত্তা এবং আইনগত কারণে বাধ্যতামূলক যাতে ড্রোন ব্যবহারে কোনও ঝুঁকি বা অবৈধতা না ঘটে। বাংলাদেশে বিমান পরিবহন কর্তৃপক্ষ (CAAB) এই লাইসেন্স ইস্যু করে থাকে।
বাংলাদেশে ড্রোন উড়ানোর নিয়মকানুন
- ড্রোনের ওজন ২৫০ গ্রাম থেকে বেশি হলে লাইসেন্স প্রয়োজন।
- সরকারি অনুমতি ছাড়া পাবলিক প্লেসে ড্রোন উড়ানো যাবে না।
- আকাশপথে উড়ানোর সময় নির্দিষ্ট উচ্চতা এবং দূরত্ব বজায় রাখতে হবে।
- বিমানবন্দর, সেনা এলাকাসহ সংবেদনশীল এলাকায় ড্রোন উড়ানো নিষিদ্ধ।
- ব্যক্তিগত ড্রোন ব্যবহার হলেও সরকারি অনুমতি বাধ্যতামূলক।
ড্রোন লাইসেন্সের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র
- আবেদনকারীর নাগরিকত্বের প্রমাণ (জাতীয় পরিচয়পত্র বা পাসপোর্ট)
- ড্রোনের মালিকানার প্রমাণপত্র
- ড্রোনের স্পেসিফিকেশন এবং ছবি
- ড্রোনের ওজন ও ক্ষমতার বিবরণ
- ব্যবহার উদ্দেশ্য সম্পর্কে বিবরণ
কোথায় এবং কিভাবে আবেদন করবেন?
বাংলাদেশে ড্রোন লাইসেন্সের জন্য আবেদন করতে হয় বিমান পরিবহন কর্তৃপক্ষ (CAAB) এর অফিসিয়াল ওয়েবসাইট অথবা সরাসরি তাদের অফিসে।
- CAAB এর অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে যান: https://caab.gov.bd
- “ড্রোন নিবন্ধন” বা “Unmanned Aerial Vehicle (UAV)” সেকশন খুঁজে বের করুন।
- আবেদন ফরম পূরণ করুন এবং প্রয়োজনীয় কাগজপত্র আপলোড করুন।
- আবেদন ফি পরিশোধ করুন (ফি সাধারণত ৫,০০০ থেকে ২০,০০০ টাকা পর্যন্ত হতে পারে)।
- অনুমোদনের জন্য অপেক্ষা করুন, সাধারণত ৭-১৪ কার্যদিবস সময় লাগে।
- অনুমোদন পেলে অফিস থেকে অথবা অনলাইনে ড্রোন লাইসেন্স সংগ্রহ করুন।
আবেদন ফি এবং অন্যান্য খরচ
লাইসেন্স প্রকার | আবেদন ফি | বৈশিষ্ট্য |
---|---|---|
ব্যক্তিগত ব্যবহারের ড্রোন | ৳৫,০০০ | ছোট ওজনের ড্রোন, সীমিত রেঞ্জ |
বাণিজ্যিক ব্যবহারের ড্রোন | ৳২০,০০০ | বড় ওজনের ড্রোন, বাণিজ্যিক কাজে ব্যবহৃত |
বিশেষ অনুমতির ড্রোন | আলোচনা সাপেক্ষে | সরকারি বা নিরাপত্তা সংক্রান্ত কাজে ব্যবহৃত |
লাইসেন্স পাওয়ার পর করণীয়
- ড্রোন উড়ানোর সময় লাইসেন্স নম্বর ড্রোনে স্পষ্টভাবে প্রদর্শন করুন।
- প্রতিটি উড়ানে নিরাপত্তা নির্দেশিকা মেনে চলুন।
- লাইসেন্সের মেয়াদ শেষ হওয়ার আগে নবায়ন করুন।
ড্রোন লাইসেন্স না থাকলে কী ঝুঁকি আছে?
সরকারি অনুমতি ছাড়া ড্রোন উড়ানো আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ। তা করতে গেলে জরিমানার পাশাপাশি ড্রোন বাজেয়াপ্ত হতে পারে। গুরুতর ক্ষেত্রে সাজার ব্যবস্থা আছে। তাই ড্রোন ব্যবহারকারীদের অবশ্যই লাইসেন্স নেওয়া উচিত।
সর্বশেষ পরামর্শ
ড্রোন শিল্প বাংলাদেশের দ্রুত বিকাশ হচ্ছে। এই সুযোগকে কাজে লাগাতে হলে অবশ্যই ড্রোন লাইসেন্স নিতে হবে। সময়মতো আবেদন ও নিয়মকানুন মেনে চলা আপনার নিরাপত্তা এবং আইনের প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শন করবে।
ড্রোন নিয়ে আরও জানতে চান?
MH Technology ওয়েবসাইটে ভিজিট করুন এবং সর্বশেষ প্রযুক্তি খবর ও গাইড পেতে আমাদের ফলো করুন।
📢 আপনার মতামত দিন
👉 আপনি কি নতুন ড্রোন কিনতে চান? তাহলে এই তুলনামূলক বিশ্লেষণ আপনার জন্য!
📌 পোস্টটি ভালো লাগলে বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন এবং নিচে কমেন্ট করে আপনার মতামত জানান।
লেখক: MH Technology | www.mhtechnology.top
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url