কুরবানির পশু কেনার আগে যে বিষয়গুলো খেয়াল করবেন | Mh Technology

কুরবানির পশু কেনা একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়, কেননা এটি একটি ইবাদতের অংশ। সঠিকভাবে পশু নির্বাচন না করলে কুরবানি শুদ্ধ নাও হতে পারে। তাই পশু কেনার আগে কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় জানা জরুরি। এই ব্লগে আমরা আলোচনা করব ।

কুরবানির পশুর বৈশিষ্ট্য

পশু কেনার সময় কী কী দেখবেন

যেসব পশু কুরবানি দেওয়া যায় না

পশু কেনার সময় সাধারণ ভুলগুলো

কুরবানির পশুর বয়স ও স্বাস্থ্য পরীক্ষা

চলুন বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।

ইসলামি শরিয়ত অনুযায়ী, কিছু পশু কুরবানি দেওয়া যায় আবার কিছু যায় না।

যেসব পশু কুরবানি দেওয়া যায়:

উট, গরু, মহিষ, ছাগল, ভেড়া ও দুম্বা কুরবানি দেওয়া যায়।

পশুটি নিরোগ ও সুস্থ হতে হবে।

পশুটির বয়স নির্দিষ্ট সীমা অতিক্রম করতে হবে (উট: ৫ বছর, গরু/মহিষ: ২ বছর, ছাগল/ভেড়া: ১ বছর)।

অন্ধ, খোঁড়া, রোগা বা দুর্বল পশু।

কান বা লেজ কাটা পশু।

জন্মগত ত্রুটিযুক্ত পশু (যেমন: শিং ভাঙা, দাঁত নেই ইত্যাদি)।

এমন পশু যার দুধ বা প্রজনন ক্ষমতা নেই।

গরু/মহিষ: কমপক্ষে ২ বছর পূর্ণ হতে হবে (দাঁত দেখে বয়স বোঝা যায়)।

ছাগল/ভেড়া: ১ বছর পূর্ণ হতে হবে।

উট: ৫ বছর পূর্ণ হতে হবে।

চোখ: পরিষ্কার ও উজ্জ্বল হওয়া উচিত, চোখে পানি বা ঘোলাটে ভাব থাকলে অসুস্থ হতে পারে।

নাক ও মুখ: শ্লেষ্মা বা লালা ঝরছে কিনা দেখুন।

পশম: চকচকে ও সমান থাকা উচিত, চুলকানি বা খসখসে ভাব থাকলে চর্মরোগ হতে পারে।

পায়ের গঠন: সোজা ও শক্তিশালী হওয়া উচিত, খোঁড়া হলে কুরবানি শুদ্ধ হবে না।

পেট: ফুলে থাকলে পেটের পীড়া থাকতে পারে।

খুব বেশি রোগা পশু কুরবানি দেওয়া ঠিক নয়।

পশুর মাংস শক্ত ও স্ফীত হওয়া উচিত।

দাঁত পড়ে গেলে বা ভাঙা থাকলে সমস্যা হতে পারে।

শিং ভাঙা বা গোড়া থেকে উঠে গেলে কুরবানি মাকরুহ হতে পারে।

অতি সস্তায় পশু কেনা: সস্তা পশুতে প্রায়ই রোগ বা ত্রুটি থাকে।

অনলাইনে অগ্রিম বুকিং: সরাসরি দেখে না কিনলে প্রতারণার শিকার হতে পারেন।

বেশি লোভ দেখানো: অনেক সময় দালালের কথায় পড়ে অতিরিক্ত দাম দিয়ে ফেলা হয়।

পশুর ইতিহাস না জানা: আগে কোথায় লালিত-পালিত হয়েছে, টিকা দেওয়া হয়েছে কিনা জানা জরুরি।

কুরবানির ২-৩ দিন আগে পশু কিনলে ভালো, কারণ দীর্ঘদিন রাখলে পশু অসুস্থ হয়ে যেতে পারে।

কোরবানির দিন খুব ভোরে পশু কিনলে দাম বেশি পড়ে, তাই আগে থেকে কেনাই ভালো।

নির্ভরযোগ্য খামার বা বাজার থেকে কিনুন।

দালাল এড়িয়ে চলুন, সরাসরি মালিকের সাথে দরদাম করুন।

স্থানীয় কসাই বা পশু চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

পশু কেনার আগে দোয়া পড়ুন এবং নিয়ত ঠিক করুন।

অতিরিক্ত দাম দিয়ে লাভ নেই, বরং সুস্থ ও নির্ভেজাল পশু নির্বাচন করুন।

পরিবার বা বন্ধুদের সাথে নিয়ে পশু কিনলে ভালো সিদ্ধান্ত নেওয়া যায়।

"কুরবানি হলো আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের মাধ্যম, তাই পশু নির্বাচনে সতর্কতা অবলম্বন করুন।"

আপনার কুরবানি যেন আল্লাহর দরবারে কবুল হয়, সে জন্য সঠিক পশু নির্বাচন করুন। এই গাইডলাইন অনুসরণ করে একটি সুস্থ ও যথাযথ পশু কিনুন।

শুভ কুরবানি!